নকশীকাঁথা ও হস্তশিল্প ও দেশের বড় কারখানা প্রসিদ্ধ জামালপুর জেলা পুরাতন ব্রক্ষপুত্র নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত ময়মনসিংহ বিভাগের একটি জিলা। যার পূর্বে শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলা, পম্চিমে যমুনা নদীর তীরবতী সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলা, উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য ও গারো পাহার এবং দক্ষিণে টাঙ্গাইল জেলা। জামালপুর জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লাউচাপড়া পিটনিক স্পট, গান্ধী আশ্রম, যমুনা সার কারখানা, দয়াময়ী মন্দির, হযরত শাহ জামাল (রঃ)-এর মাজার, লুইস ভিলেজ রিসোর্ট অ্যান্ড পার্ক, যমুনা সিটি পার্ক ইত্যাদি।
ময়মনসিংহ জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ময়মনসিংহ বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। অবস্থানগত কারণে এটি বাংলাদেশের বিশেষ শ্রেণীভুক্ত জেলা। এই জেলা ছিল তৎকালীন ভারত উপ-মহাদেশের বৃহত্তম জেলা। এই ময়মনসিংহ জেলার আকার সময় সময় পরিবর্তিত হয়েছে। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলা থেকে টাঙ্গাইল মহুকুমাকে পৃথক করে একটি জেলা উন্নীত করা হয়। ১৯৮০-এর দশকে আদি ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন মহকুমা যথা জামালপুর, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনাকে পৃথক পৃথক জেলায় উন্নীত করা হয়। এছাড়া জামালপুরের অন্তর্গত শেরপুরকেও একটি পৃথক জেলায় উন্নীত করা হয়। এর আগে ব্রিটিশ আমলে ময়মনসিংহ জেলার কিছু কিছু অংশ সিলেট, ঢাকা, রংপুর ও পাবনা জেলার অঙ্গীভূত করা হয়েছিল। এই ভাবে ময়মনসিংহ জেলা যা কিনা ব্রিটিশ আমলে অবিভক্ত ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ জেলা ছিল তার আকার ক্রমাগত সংকুচিত হয়ে আসে। ময়মনসিংহ জেলা মৈমনসিংহ গীতিকা, মহুয়া, মলুয়া, দেওয়ানা মদীনা, চন্দ্রাবতী, কবিকঙ্ক, দীনেশচন্দ্র সেন এবং মুক্তাগাছার মন্ডার জন্য বিখ্যাত। দর্শনীয় স্থান; বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, আলেকজান্ডার ক্যাসল, ময়মনসিংহ জাদুঘর, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী, সার্কিট হাউজ, সিলভার ক্যাসল, বিপিন পার্ক, রামগোপালপুর জমিদার বাড়ি, কাদিগড় জাতীয় উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ময়মনসিংহ টাউন হল, গৌরীপুর লজ, কেল্লা তাজপুর, আলাদিনস পার্ক, তেপান্তর সুটিং স্পট, কুমির খামার, গারো পাহাড়, চীনা মাটির টিলা, কালু শাহ্ কালশার দিঘী, নজরুল স্মৃতি যাদুঘর, শহীদ আব্দুল জব্বার জাদুঘর ও রাজ রাজেশ্বরী ওয়াটার ওয়ার্ক ইত্যাদি।
আমাদের বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলায় অপরুপ সৌন্দর্য বিদ্যমান। নেত্রকোনা জেলাও এর ব্যতিক্রম নয়। নেত্রকোনা জেলার দর্শনীয় স্থান গুলো নিয়ে আলোচনার আগে চলুন জেলা নেত্রকোনা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিই।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নেত্রকোনা ১১ নং সেক্টরের অধীন ছিল। নেত্রকোনা ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই জেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে কিশোরগঞ্জ, পূর্বে সুনামগঞ্জ ও পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা। মোট ১০টি উপজেলা নিয়ে নেত্রকোনা জেলা গঠিত। এ জেলার পর্যটন দারুন সম্ভাবনাময়।
নেত্রকোনা জেলার দর্শর্ণীয় স্থান; বিরিশিরি কালচারাল একাডেমি, ভারত থেকে নেমে আসা দারুণ সোমেশ্বরী নদী, হাজং মাতা রাশমণি স্মৃতিসৌধ, দুর্গাপুরের জমিদার বাড়ি, গারো পাহাড় ও কংস নদী ইত্যাদি।